মোদি জমানায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের রাম রাজত্ব শুরু হওয়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে ঘটণা ভাষণ। মুসলিম-সহ সংখ্যালঘুদের নিশানা করে লাগাতার ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করে চলেছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তবে পিছিয়ে নেই বাকি রাজনৈতিক দলগুলিও। দেশে বর্তমানে ১০৭ সাংসদ বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘটণা ভাষণের অভিযোগে মামলা চলছে। আর ওই তালিকায় বাকি সব দলকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে ধর্মের নামে বিষ ছড়ানোর মূলপাণ্ডা হিসেবে অভিযুক্ত বিজেপি।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ঘৃণা ভাষণে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমানে দেশের ৪,৭৬৮ জন সাংসদ-বিধায়কের মধ্যে ১০৭ জনের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের দায়ে মামলা চলছে। তার মধ্যে সাংসদ সংখ্যা ৩৩ এবং বিধায়ক সংখ্যা ৭৪। ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোয় বাকি সব দলকে টেক্কা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। ওই দলের ৪২ সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের দায়ে মামলা চলছে। এর পরেই রয়েছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গের দলের ১৫ সাংসদ-বিধায়ক ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত। স্বচ্ছ রাজনীতির দোহাই পারা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সাত সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে একই অপরাধে মামলা চলছে।’
ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর দায়ে যে সাংসদ-বিধায়কের নামে মামলা চলছে তার তালিকা চমকে ওঠার মতো। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, বিমানবন্দরে গুন্ডামিতে অভিযুক্ত নিশিকান্ত দুবে, দিলীপ ঘোষ, প্রজ্ঞা ঠাকুর। বিধায়ক হিসেবে যারা ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোয় অভিযুক্ত তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।