ক্রমশই ফুলেফেঁপে উঠছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির কোষাগার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদান বা চাঁদা বাবদ ২৫৮.৪৯ কোটি টাকা পেয়েছিল দেশের ৭টি নির্বাচনী ট্রাস্ট। এই বিপুল অর্থের সিংহভাগই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। বলা হয়েছে, এই চাঁদার প্রায় ৮২.০৫ শতাংশ অর্থাৎ ২১২.০৫ কোটি টাকা পেয়েছে পদ্মশিবির। তার ঠিক আগের অর্থবর্ষেও (২০১৯-২০) অবশ্য একই ‘ট্র্যাডিশন’ বজায় ছিল। ওই বছর রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা বাবদ ৯২১. ৯৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। এর মধ্যে শুধু বিজেপির দলীয় তহবিলেই জমা হয়েছিল ৭২০.৪০৭ কোটি টাকা। যা মোট অর্থের ৭৮ শতাংশ।
নির্বাচনী খরচ সামলাতে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচুর কর্পোরেট বা ব্যক্তিগত অনুদান পেয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় যাতে স্বচ্ছতা থাকে, তার জন্য অলাভজনক সংস্থা হিসেবে নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে সেই টাকা পায় দলগুলি। এডিআর তাদের নয়া রিপোর্টে জানিয়েছে, মোট ২৩টি ট্রাস্টের মধ্যে ১৬টি তাদের ২০২০-২১ অর্থবর্ষের হিসেব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিল। যাদের মধ্যে মাত্র ৭টি ট্রাস্ট অনুদান পাওয়ার কথা জানিয়েছে। যার পরিমাণ ২৫৮.৪৯১৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২৫৮.৪৩০১ কোটি (৯৯.৯৮ শতাংশ) টাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে।
দিনকয়েক আগে এডিআর আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জাতীয় দলগুলির কর্পোরেট অনুদান প্রায় ১০৯ শতাংশ বেড়েছিল। অর্থপ্রাপ্তির নিরিখে বিজেপির থেকে শত যোজন দূরে থাকলেও এডিআর-এর এবারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)। তাদের ঝুলিতে গিয়েছে ২৭ কোটি টাকা। যা মোট অর্থের মাত্র ১০.৪৫ শতাংশ। দেশের আরও ১০টি দল— কংগ্রেস, এনসিপি, এআইএডিএমকে, ডিএমকে, আরজেডি, আপ, এলজেপি, সিপিএম, সিপিআই এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দল সবমিলিয়ে পেয়েছে ১৯ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা।