আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মোট সম্পত্তির বাজারমূল্য মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। এডিআরআই বা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস অফ ইন্ডিয়া-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এডিআরআই-এর এই রিপোর্ট বলছে, দেশের ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জনই কোটিপতি। এমনকী সর্বহারার দল সিপিএমের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কোটিপতি। গোটা তালিকায় ব্যতিক্রম শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকার সামান্য বেশি। সাতবারের সাংসদ। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের শাসকদলের অবিসংবাদী নেত্রী। অথচ সেই নেত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা! যা তাঁকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় এক নম্বর জায়গাটি দিয়েছে। আসলে দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থাকলেও তিনি বেতন নেন না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি বেতন নেন না। সাংসদের পেনশনও নেন না। মুখ্যমন্ত্রীর রোজগারের উৎস শুধু তাঁর লেখা বই এবং আঁকা ছবি। বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ করলেও ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ নেই।
রাজ্যে দল ও নেতারা যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবমূর্তি খানিকটা স্বস্তি দেবে তৃণমূলকে। দেশের দরিত্র মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেরলের পিনারাই বিজয়ন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটির সামান্য বেশি। তার পরেই রয়েছেন হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তাঁরো সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটির সামান্য বেশি। মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় ধনীতম হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের সম্পত্তির পরিমাণ ৬৩ কোটি টাকা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।