বিরোধী দলগুলোর তুলনায় ভারতীয় জনতা পার্টি আর্থিক দিক থেকে বরাবরই শক্তিশালী। কারণ একাধিক বহুজাতিক সংস্থা, ট্রাস্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে চাঁদা হিসেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিজেপির তহবিলে জমা হয়। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ বিজেপির তুলনায় বহুলাংশে কম। এবার ২০২০-২১ অর্থবর্ষে চাঁদা হিসেবে পদ্ম শিবিরের তহবিলে ঠিক কত টাকা ঢুকেছে তার একটি হিসেব দিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জনতা পার্টির তহবিলে ৪৭৭.৫৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। টাকাগুলি মূলত এসেছে বিভিন্ন সংস্থা, ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে। বিজেপির কাছ থেকেই এই তথ্য পায় নির্বাচন কমিশন। এরপর সেই তথ্য প্রকাশ করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। জনতা পার্টির প্রাপ্ত চাঁদার আশেপাশেও নেই কংগ্রেস। তাদের ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ৭৪.৫ কোটি টাকা।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, মোট ৭ টি ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট ২০২০-২১ আর্থিক বছরে বিভিন্ন উৎস থেকে চাঁদা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেক্ষেত্রে মোট সঞ্চিত চাঁদার পরিমাণ ছিল ২৫৮.৪৯১৫ কোটি টাকা। এই পুরো পরিমাণ টাকাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে জনতা পার্টিই পায় ২১২.০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট চাঁদার ৮২.০৫ শতাংশই ঢোকে বিজেপির তহবিলে।
বৃহত্তম ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্টগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রুডেন্ট ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট ২১২.০৫ কোটি টাকার মধ্যে ২০৯.০০ কোটি টাকা দেয় বিজেপিকে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই চাঁদার পরিমাণ ছিল ২১৭.৭৫ কোটি টাকা। বিজেপি ছাড়াও আরও ছয়টি রাজনৈতিক দল প্রুডেন্ট ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্টের থেকে চাঁদা পায়। তাদের মধ্যে রয়েছে জেডিইউ (JDU), কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি, এলজেপি এবং আপ।