একেবারে চমকে দেওয়া রিপোর্ট। এমনকী ক্রিমিনাল কেস থাকলেই যে জনতা তাকে প্রত্যাখান করে এমনটা নয়।
লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষনও চলছে পুরোদমে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের রিপোর্ট বলছে সব মিলিয়ে ৫৪৩জন এমপির মধ্যে ২৫১জনের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। এই সংখ্য়া প্রায় ৪৬ শতাংশ। তার মধ্যে ২৭জন সাজাপ্রাপ্ত। পরিসংখ্য়ান বলছে, এবারই প্রথম ক্রিমিনাল কেস রয়েছে এমন এতজন গেলেন লোকসভায়।
সব মিলিয়ে ২৩৩জন এমপি তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস আছে বলে ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৪ সালে এই সংখ্য়াটা ছিল ১৮৫জন। ২০০৯ সালে এই সংখ্য়া ছিল ১৬২জন। আর ২০০৪ সালে এই সংখ্য়াটা দাঁড়িয়েছে ১২৫জন। অর্থাৎ ২৩ শতাংশ।
এদিকে এই পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ২০০৯ সালের তুলনায় এবার ক্রিমিনাল কেস যুক্ত সাংসদের সংখ্যা ৫৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে এবার ২৫১জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৭০জনের বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অপরাধমূলক কেস রয়েছে। যেমন ধর্ষণ, খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ। এদিকে ২০০৯ সালে এই ধরনের সিরিয়াস ক্রাইমের অপরাধ যতজন এমপির বিরুদ্ধে ছিল এবার তার থেকে ১২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে এই বিশ্লেষনে দেখা গিয়েছে যে এবার যে সমস্ত প্রার্থীরা তাঁদের ক্রিমিনাল কেসের কথা ঘোষণা করেছিলেন তাদের জেতার সম্ভাবনা ১৫.৩ শতাংশ ছিল। আর যাদের স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এমন প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা ছিল ৪.৪ শতাংশ।
এদিকে বিজেপির এবারও সবথেকে বেশি সংখ্যক সাংসদ রয়েছে। তবে তাদের মধ্য়ে এবার ৯৪জন ঘোষণা করেছিলেন যে তাদের আগে থেকে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।
দল ভিত্তিক এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসে ৯৯জন বিজয়ী সাংসদের মধ্যে ৪৯জনের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে ২১জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কেস রয়েছে।
তৃণমূলের ১৩জনের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।
সিরিয়াস ক্রিমিনাল কেস রয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্য়াটা জেনে নেওয়া যাক। ৬৩ বিজেপি প্রার্থী, ৩২ কংগ্রেস প্রার্থী, ১৭ এসপি প্রার্থী, সাত তৃণমূল প্রার্থী, ৬ ডিএমকে প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিরিয়াস ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। এডিআর স্টাডিতে তেমনটাই উঠে এসেছে।
একেবারে চমকে দেওয়া রিপোর্ট। এমনকী ক্রিমিনাল কেস থাকলেই যে জনতা তাকে প্রত্যাখান করে এমনটা নয়। অন্য়দিকে অনেক সময়ই রাজনীতি করেন যারা তারা বলেন আসলে রাজনীতিতে পেরে উঠতে না পেরে অনেক সময় ক্রিমিনাল কেস দেওয়া হয়। সব কেসের পেছনেই যে সত্যতা থাকে এমনটা নয়। কিছু সাজানো ব্যাপারও থাকে।