সাংসদদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের মামলার হিসাবও উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়। সেখানে জানা যাচ্ছে, ২২৫ জন রাজ্যসভা সাংসদের মধ্যে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপরাধের মামলা। অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্যসভায় বর্তমানে ২২৫ জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা এবং আরও বেশ কিছু বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (এনইউব্লিউ)। সেই রিপোর্টেই উঠে এল দেশের বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদদের মধ্যে ১২ শতাংশের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটির বেশি। এর মধ্যে সবথেকে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশে। রাজ্যসভায় মোট ২৭ জন সাংসদের সম্পত্তি ১০০ কোটির বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র রয়েছে তালিকার প্রথম সারিতে।
এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের ১১ জন রাজ্যসভার সাংসদের মধ্যে ৫ জন বিলিওনেয়ার। অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। তেলঙ্গানার ৭ জনের মধ্যে ৩ জন বিলিওনেয়ার (৪৩ শতাংশ)। মহারাষ্ট্রের ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন (১৬ শতাংশ), দিল্লির ৩ জনের মধ্যে ১ জন (৩৩ শতাংশ)। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন পঞ্জাব থেকে ২ জন, হরিয়ানা থেকে ১ জন এবং মধ্য প্রদেশ থেকে ২ জন। এর মধ্যে তেলঙ্গানার ৭ সাংসদদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ১১ জন সাংসদের মোট সম্পত্তি ৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও রাজ্যসভার বর্তমানে যে সাংসদরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৮৪ জন সাংসদের প্রত্যেক সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি। ৩৩ জন এমন আছেন যাঁদের সম্পত্তি ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে। ৭৭ জন সাংসদের মোট সম্পত্তি ১ থেকে ৫ কোটি টাকার মধ্যে এবং ২৩ জনের মোট সম্পত্তি ২০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে।
সাংসদদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের মামলার হিসাবও উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়। সেখানে জানা যাচ্ছে, ২২৫ জন রাজ্যসভা সাংসদের মধ্যে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপরাধের মামলা। অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। ২ জন আবার খুনের মামলায় অভিযুক্ত। ৪ রাজ্যসভা সাংসদের মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের মামলা রয়েছে। এই চারজনের মধ্যে রাজস্থানের এক সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। অপরাধের মামলা সবথেকে বেশি রয়েছে বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে। বিজেপির ২৩, কংগ্রেসের ১২, তৃণমূলের ৪, আরজেডি-র ৫ জন, আপের ৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন ওই সাংসদরা।